নয়াদিল্লি: শনিবার, ১৬ জানুয়ারি ভারতের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন। এদিন শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে ভ্যাক্সিন নেওয়ার প্রক্রিয়া। ভারতের জনসংখ্যার নিরিখে এটাই বিশ্বের সবথেকে বড় ভ্যাক্সিন ড্রাইভ। আর প্রথম দিনেই উদ্বেগের খবর এল রাজধানী থেকে।
জানা গিয়েছে, একাধিক স্বাস্থ্যকর্মী এই ভ্যাক্সিন নেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লিতে ১১ টি ও পশ্চিম ও পূর্ব দিল্লি থেকে বেশ কয়েকজনের অসুস্থ হওয়ার খবর এসেছে। তবে দক্ষিণ দিল্লি থেকে এক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর এসেছে, যা গুরুতর।
গুরুতর অসুস্থ ওক স্বাস্থ্যকর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এছাড়া আরও দু’জনকে কিছুক্ষণ রাখার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ভ্যাক্সিন নেওয়ার পর একজনের অবস্থা এতই খারাপ হয় যে তাকে এইমসের আইসিইউ-তে ভর্তি করাতে হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভ্যাক্সিন দেওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই ওই ব্যক্তির মাথা যন্ত্রণা, র্যাশ, শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসায় কোনও উন্নতি না হলে অ্যাড্রিনালিন ব্যবআর করে তার অবস্থা স্থিতিশীল করার চেষ্টা হয়। এরপর তাঁকে এইমসে ভর্তি করা হয়। আত ঘণ্টার মধ্যেই শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়।
অন্যান্য টিকার সঙ্গে করোনার টিকার কিছু পার্থক্য রয়েছে৷ এক্ষেত্রে কঠোর ভাবেই বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হচ্ছে৷ কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ডে আস্থা থাকলেও, এর কার্যকারীতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে সম্পূর্ণ চিন্তামুক্ত হতে পারেনি দেশ৷ গত ৩ জানুয়ারি জোড়া টিকায় অনুমোদন দেন ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) ভিজে সোমানি৷ জরুরি ভিত্তিতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়৷
