স্টাফ রিপোর্টার: টেট মামলার রায় দিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলে দিয়েছেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও বাধা নেই। পর্ষদ তাদের প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারে। এদিকে, মেধাতালিকায় নাম না। থাকার পরও ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণরা লাগাতার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সামনে আমরণ অনশনে বসেছেন নিয়োগের দাবিতে। কার্যত অবরুদ্ধ সল্টলেকের করুণাময়ী চত্বর।
Mmm এই পরিস্থিতিতেই উত্তরবঙ্গে
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “এই সব নিয়ে আমি আলোচনা করছি না। এটা এখন বিচারাধীন বিষয়। আদালত নির্দেশ দিয়েছে। তোমরা আদালতকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করো।” একই বক্তব্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদেরও। আন্দোলনকারীরা এভাবে অনশনে বসে না থেকে, কেন কোর্টে যাচ্ছেন না— সেই প্রশ্ন তুলেছে তারা। পর্যদের বক্তব্য, আন্দোলনকারীরা জানেন তাঁরা মেধাতালিকায় 'নন-ইনক্লুডেড'। দু'বার ইন্টারভিউ দিয়েও মেধাতালিকায় নাম ওঠেনি। এই পরিস্থিতিতে অনায্য দাবিকে কোর্ট মান্যতা দেবে না বুঝে তাঁরা আন্দোলনের পথে গিয়েছেন বলে মনে করছে পর্ষদ।পর্ষদ এই আন্দোলনকারীদের নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার কথাও জানিয়েছে। সেক্ষেত্রে বয়স বাধা হয়ে
দাঁড়ালে, তা নিয়েও দফতরের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে mm
তার পরও সে পথে যেতে চাইছেন না আন্দোলনকারীরা। তাঁদের একমাত্র দাবি, নিয়োগ।
mm
যাকে 'অন্যায্য' বলে জানিয়ে এদিন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের বক্তব্য, “আইন মেনে নিয়োগ করতে হলে যাঁরা আন্দোলন করছেন, আমরা কখনওই বলতে পারি না যে তাঁরাই শুধু আবেদন করতে পারবেন। তাঁরা চাইছেন, তাঁরা আর কোনও ইন্টারভিউ দেবেন না। তাঁদেরই নিয়োগ করতে হবে।”
mm
পর্ষদ সভাপতির স্পষ্ট বক্তব্য, “এই দাবি অন্যায্য। আইনানুগ বা বিধিসম্মত নয়। এমন দাবি পর্যদ কখনওই মেনে নেবে না।
মুখ্যমন্ত্রী ১৬ হাজার ৫০০ পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়েছিলেন। সেই শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় টেট উত্তীর্ণ ও প্রশিক্ষিত ২৯ হাজার ৬৬৫ জন আবেদনকারীর মধ্যে ১৩ হাজার ৬৮৫ জনকে মেধাতালিকাভুক্ত করা হয়। যোগ দেন ১৩ হাজার ৫৬৪ জন। মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হননি ১৬ হাজার ১০১ জন। তাঁরাই এখন নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনে। পর্যদ সভাপতির কথায়, “মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হওয়া এই নন ইনক্লুডেডদের যদি নিয়োগ দিতে হয়, সেই নিয়োগ কি আইনগতভাবে সঙ্গত ? ”