মালদা: এবার জনগণের কাছে ফিরে আসার জন্য পুরাতন দল মালদা আঞ্চলিক পরিষদের সদস্যদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। ৮ ই মার্চ ভোটের আগে মালদা আঞ্চলিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যানসহ ১৪ জন সদস্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরে ডলিরানি মণ্ডল আঞ্চলিক কাউন্সিল সদস্য তৃণমূল কাউন্টির রাষ্ট্রপতির কাছে এবার তৃণমূল ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, আমি দলের নেতার কাছে ক্ষমা চাইছি। ভুল বুঝে আমি বিজেপিতে গেলাম। আমি এখানে কাজ করতে যাচ্ছি না। তাই আমি জনগণের কাছে ফিরে যেতে চাই। আমি ভূতের বাসিন্দাদের জন্য কাজ করতে চাই। তবে তৃণমূল ইস্যুতে তাদের পূর্ববর্তী অবস্থানের কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন যে সিদ্ধান্তটি দলের রাজ্য নেতৃত্বই নেবেন। অন্যদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে জনগণের উপর চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি জানিয়েছে, এই সমস্ত নেতাকে বিজেপি ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে।
এটি লক্ষ করা উচিত যে বিধানসভায় ভোট দেওয়ার আগে, বেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য ভিড় ছিল। ভোট দেওয়ার পরে কারেন্ট বিপরীত করুন। একের পর এক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতারা তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সোনালী গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাস থেকে মালদার সরলা মর্মু, অনেকেই ফিরে যেতে চেয়েছিলেন মর্যাদায়। এই তালিকায় ডলোরাণী মন্ডল নাম যুক্ত হয়েছে।
এটা উল্লেখ করা যেতে পারে যে মালদার রতুয়া নং এর তৃণমূলের 16 সদস্য বিধানসভায় ভোট দেওয়ার আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন পঞ্চায়েত সমিতি। কিছুদিন আগে তারা তৃণমূলে ফিরে আসার আবেদন করেছিল, তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে। তারা এ বিষয়ে তৃণমূল অঞ্চলের রাষ্ট্রপতির কাছে লিখিত আবেদন করেছে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল অঞ্চলের সভাপতি মাওজম বিনাজির নূর বলেন, দলে আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিজেপির আঞ্চলিক সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল দাবি করেছেন যে কেউ জোর করে দলে যোগ দেয়নি। যদি কেউ যেতে চান, তাদের আটক করা উচিত নয়, তবে ১৮ সদস্যের দল ছাড়ার সিদ্ধান্তের ফলস্বরূপ, মালদার বিজেপিতে ভার্জিনের কমিটি ভেঙে দিয়েছেন। পঞ্চায়েত সমিতির এক নম্বর সদস্য শুভম সরকার বলেছিলেন, আমি ভুল করে বিজেপি গিয়েছিলাম। ভুল বুঝেছি। আমি আবার ঘাড়ে যেতে চাই সে কারণেই আমি এই অঞ্চলের রাষ্ট্রপতি এবং বিধায়ককে আবেদন করেছি।
রাতুয়া নং 1 পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট 30 টি আসন রয়েছে। ২০১ 2016 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল 30 টি আসনের মধ্যে 28 টি আসন জিতেছে। এর মধ্যে চারটি জিতেছিল কংগ্রেস। পরে এই চার সদস্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। এ বছর বিধানসভায় ভোটের আগে ছবিটি আবার বদলে গেল। ১৮ সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সংখ্যালঘু হয়ে গেল তৃণমূল।
