ইডি থেকে শুভেন্দুকে বাঁচাতে দিল্লিতে বৈঠক
![]() |
ইডি থেকে শুভেন্দুকে বাঁচাতে বিপাকে গেরুয়া শিবির |
নয়াদিল্লি : রাজ্যের শিক্ষা দফতরে নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্তে নামতেই তাঁর নাম জড়িয়ে গিয়েছে। কারণ যে সময়ের দুর্নীতির তদন্তে ইডি-র সক্রিয়তা, সেই সময় দলের তরফে বেশ কয়েকটি জেলার সাংগঠনিক দায়িত্বে ছিলেন বর্তমান বিরোধী। দলনেতা Suvendu Adhikari। তাঁর সুপারিশে বহু বেআইনি নিয়োগ হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। খবর গিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী Amit Shah ও বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি JP Nadda কাছে। তাই তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে কীভাবে শুভেন্দুকে বাঁচানো যায়, সেই কৌশল নিয়ে আলোচনা করতেই তড়িঘড়ি মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতাকে Delhi তলব করা হয়। বিষয়টি নিয়ে Shah &Nadda দীর্ঘ আলোচনা করেন শুভেন্দুর সঙ্গে। যদিও বৈঠক শেষে
“Meeting in Delhi to save Subhendu from ED”
■ স্কুলে নিয়োগ ইডি তদন্ত থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষা করতেই তৎপরতা শুরু হয়েছে বিজেপিতে।
■ ইডির রিপোর্টে বারবার শুভেন্দুর নাম উঠতেই তাঁকে দিল্লিতে তলব করেছেন অমিত শাহ। সূত্রের খবর, অমিত শুভেন্দু বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ নিয়েই আলোচনা হয়।
শুভেন্দু জানান, “একশো জনের বেশি কালেক্টরের নাম আমি জমা দিয়েছি। এঁদের মধ্যে কিছু বিধায়ক রয়েছেন, কয়েকজন মন্ত্রীও রয়েছেন। চার বিধায়কের লেটারহেড প্যাডও আমি জমা দিয়েছি, যাঁরা লিস্ট করে দিয়েছিলেন।”
Suvendu Adhikari দিল্লি সফর ও দাবি নিয়ে তোপ দেগেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
তিনি বলেন, “Suvendu Adhikari মুখে দুর্নীতির কথা মানায় না। Suvendu Adhikari নিজের নাম সারদা মামলায় সিবিআইয়ের এফআইআরে আছে। ওঁর উচিত তদন্তে স্বচ্ছতার খাতিরে আত্মসমর্পণ করা। এজেন্সি থেকে বাঁচতেই শুভেন্দু বিজেপিতে গিয়েছেন। উনি একটা চোর, তোলাবাজ, মেরুদণ্ডহীন। তাঁর কথায় গুরুত্ব দেওয়ার কোনও মানে নেই।”
তৃণমূলে থাকাকালীন টানা আট বছর দলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ ও দফতর সামলেছেন Suvendu Adhikari ।ছিলেন দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া সহ বেশ কয়েকটি জেলার পর্যবেক্ষক। নিয়োগ দুর্নীতি সেই সময়ের। তদন্তে নেমে চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারী সংস্থার। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ বা তদন্তে বেরিয়ে আসা তথ্যপ্রমাণে বারবারই Suvendu Adhikari নাম ইডি আধিকারিকদের সামনে চলে আসছে। বিষয়টি কানে গিয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। বিষয়টির সত্যাসত্য যাচাই করতে দিল্লিতে তলব করা হয় বাংলার বিরোধী দলনেতাকে। এদিন প্রথমে Home minister Amit Shah সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন Shuvendu। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তিনি নালিশ করেন, এক লাখেরও বেশি বেকারের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়েছে রাজ্যের শাসকদলের নেতারা এবং কোটি কোটি ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ নষ্ট করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের এই দুর্নীতিতে জড়িত কাউকে যাতে রেহাই দেওয়া না। হয় Amit Shah কাছে আবেদন করেন। Suvendu। পাল্টা amit shah দুর্নীতিতে তাঁর নামও এসেছে বলে বিরোধী দলনেতাকে জানান বলে সূত্রের খবর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে নিজের ইমেজ রক্ষায় 'ড্যামেজ কন্ট্রোল'-এ নামেন তিনি। দুর্নীতিতে জড়িত প্রায় ১০০ জন তৃণমূল নেতার নামের তালিকা শাহর হাতে তুলে দেন। এরপরেই JP Nadda ও অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু। বারবার কথা বলেন দলের রাজ্য সভাপতি Sukanta majumdar ও প্রাক্তন সভাপতি Dilip Ghosh সঙ্গেও। সংসদের সেন্ট্রাল হলে বঙ্গ বিজেপির সাংসদদের সঙ্গেও সময় কাটান তিনি।
তবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কেন্দ্রের মনোভাবে ফাঁপরে বঙ্গ বিজেপি। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে নাগরিকত্ব আইন চালু করার দাবি তোলেন শুভেন্দু। কোভিডের বুস্টার ডোজ শেষ হলে নাগরিকত্ব আইন লাগু করা হবে বলে জানান শাহ। কিন্তু বুস্টার ডোজ কবে শেষ হবে। তা আজও স্পষ্ট নয় কেন্দ্রের কাছে। কারণ বুস্টার ডোজ নিয়ে মানুষের মধ্যে কোনও উৎসাহ নেই। কবে শেষ হবে তার কোনও সময়সীমা কেন্দ্রের তরফে বেঁধে দেওয়া হয়নি। ফলে নাগরিকত্ব আইন কবে চালু করা যাবে তা নিয়ে ধন্দে বঙ্গ বিজেপি।