Header Ads Widget

স্বাধীনতা দিবসের সেরা বাংলা কবিতা ও ছড়া

 ঃ দেশ-মাতা ঃ

লেখকঃ মোঃ আব্দুল মালেক 



দেশটা আমার মায়ের মতো 

মা'কে যারা দেয় সম্মান,

শত-কুটি ছালাম তাদের 

তারা হলো মহিয়ান । 

দেয়না যারা মা'কে সম্মান 

যাকনা চলে গোরস্থান ।। 


আদর-সোহাগ দিয়ে যে-মা'য়

করলো এত বড়ো,

সেই মা'য়ের সাথে বেইমানী-টা

ক্যামনে করতে পারো ? 

তুমি হলে কূ-জাত দারু -

নর্গে তোমার বাসস্থান ।। 


দেশের জন্য জীবন দিলো

কতো মায়ের বুক-খালি, 

তাদের কথা হয়না স্বরণ

আমরা তাদের যাই-ভুলি । 

কার ইশারায় হই বে-খেয়ালি-

রাখিসনা রে দেশের মান ।। 


স্বাধীনতা দিবস

               ডলি মুখার্জী


রক্তে কেনা স্বাধীনতার আজ

    একি হয়েছে হাল,

হাসছে যেন বিকট হাসি

       স্বাধীনতার কঙ্কাল।

অতীতের দিকে ফেরালে চোখ

   মৃত্যুর বিনিময়,

 বর্তমানের করাল গ্ৰাসে

      স্বাধীনতার অপচয়।

পনেরো আগষ্ট চির স্মরণীয়

        ভারত বাসীর কাছে,

মনে রাখার মত সে কথা এখন

           ক, জনের মনে আছে।

স্রোতের টানে ভাসে মানুষ

       আবেগ সম্বল,

শিকল ভাঙার গানের তুফানে

      ভাসেনা সন্তান দল।

যাদের জন্য এ দেশ স্বাধীন

   দিই তাদের শ্রদ্ধাঞ্জলী,

স্বাধীনতার সুখ উপভোগ করে

    সত‍্যের পথে চলি।

পনেরো আগষ্টের কাষ্ঠ জয়গানে নয়

 শত শহীদেরে করি বরন,

শ্রদ্ধা ভালোবাসা আর আন্তরিকতায়

  বরেন্য সংগ্ৰামীদের স্মরণ।

নতুন ভারতের স্বপ্ন কে দেব

     সার্থক রূপায়ণ,

স্বাধীনতার আনন্দে ভেসে চলুক

   আপামর জনগণ।


স্বাধীনতা দিবস 

                              মৃণাল কান্তি রায় 

                             

      স্বাধীন থেকে স্বাধীনতা না মানিবো অধীনতা

              এই দৃঢ় প্রত্যয়েরই দিন,

      একাত্তরের এই দিনে নেতার নেতৃত্ব জ্ঞানে 

             মুক্তিযুদ্ধের বাজে রণ বীণ! 


     স্কুল-কলেজ অফিসপাড়া বন্ধ সব ঘোষণা দ্বারা

                অসহযোগের বলিষ্ঠ চেতনা 

      রাজধানীর কোলাহল সারাদেশে বাজে মাদল 

               সংস্কৃতির সজীব বন্দনা! 


   কৃষক শ্রমিক মজুর মুটে দলে দলে এসে জুটে 

               শুরু হলো যুদ্ধের সূচনা, 

অসীম সাহসী জাতি বীরত্বের মহাজ্যোতি

             খুঁজে নিয়ে প্রমাণ দেখোনা! 


 বাঁশের লাঠি দা- কাঁচি বটি সাবল খন্তা আচি 

         ইট- পাটকেল অস্ত্র ধারণা,

 লাখে লাখে যেই কাতার স্বাধীনতার মহা বেতার 

        প্রেরণায় আনন্দ যোজনা! 


তাজউদ্দিনের সরকার সাহায্যের করে আবদার

            বিশ্ববাসী এগিয়ে এসো,

 আছি বৈষম্যের স্বীকার স্বাধীন থাকার অধিকার

           মেনে নিয়েই এবার বসো! 


 বন্ধুপ্রতীম ভারত নেতা সাহায্যে ত্রাণের মাতা 

                নেতৃত্বে অরোরা এবার,

ভারতভুমে প্রশিক্ষণ গেরিলা যুদ্ধের আবাহন 

             মুক্তি- মিত্রের যৌথ যুদ্ধের ধার! 


স্থল- নৌ- বিমান গর্জে ওঠে কামান 

         মর্টার আর মেশিনগান,

পুরো অঞ্চল জুড়ে সেক্টরে সেক্টরে লড়ে 

         না মানিবে কোন অপমান! 


 স্বীকৃতির পটভূমি পৃথক আবাস জমি 

        সীমানার চিহ্নিত আবাস,

 লোকক্ষয় সম্পদক্ষয় সাহসে বাঙালি দুর্জয়

         বীরত্ব করিল প্রকাশ! 


নয়মাসের সংগ্রাম চলিল ঠিক অবিরাম 

      দেশ হলো এক মহাশ্মশান,

ঘর- বাড়ি পুড়ে গেলো নারী সম্ভ্রম লুটে নিল

      বিনিময়ে আজ স্বাধীনতার গান! 


রবি- নজরুলের প্রেরণা বাংলাদেশের বন্দনা 

        স্বাধীনতার অস্তিত্ব গ্রন্থনা,

দিবসে এসে ভাবো রাজন বৈষম্য কি হলো উচ্ছেদন



           স্বাধীনতা


স্বাধীনতা তুমি দিগন্ত জোড়া মাঠ


স্বাধীনতা তুমি ভেঙে ফেলা চৌকাঠ।


স্বাধীনতা তুমি উদাত্ত নীলাকাশ


স্বাধীনতা তুমি জীবনের উচ্ছাস।


স্বাধীনতা তুমি মায়ের হাতের চড়


স্বাধীনতা তুমি রাণাপ্রতাপের গড়।


স্বাধীনতা তুমি একুশে ফেব্রুয়ারি 


স্বাধীনতা :তোমাকে কখনো ভুলতে পারি?


স্বাধীনতা চেয়ে,খোলা ঝানালার পাশে


তৃষিত গৃহিনী,আকাশকে ভালোবাসে।


অষ্টাদশীরা পুরুষের পাশে হাঁটে


স্বাধীনতা খোঁজে :ভেঙে ফেলা চৌকাঠে।


গরিবেরা চায়,টাটকা গরম ভাত


ক্ষুধার অন্ন?অসময়ে হাতে হাত।


কাঙালী শিশুটি,কেন পড়ে রবে ঘরে


সার্বজনীন শিক্ষা সবার?"তবে ওমুখো হবে


না কেন? কোন অপরাধে? শিক্ষালাভের তরে?


মা,বাবারসাথে,বড়দিদি যাবে খেতে খামারে


তার চেয়ে,যেটি ছোট?সে আগলাবে?


সেই সামলাবে কচি ভাইটিকে ঘরে?


রবীন্দ্রনাথ,কাজী নজরুল,কবিতা ও গানে


বুঝিয়ে দিলেন,স্বাধীনতার কি মানে?


ঝাঁকে ঝাঁকে প্রাণ করে গেল দান অকাতরে


কত বীর বিপ্লবী যুবা,এই স্বাধীনতার তরে?


ধনী জমিদার, প্রান্তিক ব্যবসায়ী


শিল্পী কুশলী, সাহিত্যে অনুধ্যায়ী?


কত কৃষক,মজুর,বার বনিতার ত্যাগ ও দানে


হে স্বাধীনতা : তুমি ভূষিত এ সম্মানে?


আজ যখন:মিনি কেঁদে কেঁদে আধো আধো সুরে বলে


"দাদুন ;একটা পতাকা রাখবে আমার তরে ।"


"পতাকাটা নিয়ে দিদিমনীদের সাথে আমিও হাঁটবো

নিরাশ করো না মোরে।"


গর্বে আমার বুক ফুলে ওঠে সুখে

ভাবি : ভাবিপ্রজন্ম যেন মনে রাখে?



স্বাধীনতা দিবস🇮🇳🇮🇳

শিব কবি অশ্বিনী মহারাজ

১৯৪৭সালের ১৫ই আগষ্ট

         ভারত বাসির ঘরে ঘরে,

আনন্দ উৎসব পালন হলো

          জাতীয় পতাকা ধরে।।


রক্ত ক্ষয়ী সংগ্ৰামে যারা

     বিসর্জন দিল প্রান,

তাদের আমি কুর্ণিশ জানাই

      তাদের জানাই প্রণাম।।


বনের পাখি খাঁচার ভিতর

     বন্দী থাকতে চায় না,

স্বাধীন ভাবে মুক্ত আকাশে

     কেবা উড়তে চায় না।।


দেওয়ালে ক্যালেন্ডার টাঙ্গিয়ে

      অঙ্ক করছি বারবার,

কবে আসবে ১৫ই আগষ্ট

      হিসেব করছি তার।।


সত্যই কি আমরা স্বাধীন ভারতে

        স্বাধীনতা পেয়েছি,

পরাধিনতার শৃঙ্খলে মোরা

      এখনো জর্জরিত হচ্ছি।।


রাজনীতির যাতা কলে

      হারিয়ে গেছে বাক্ স্বাধীনতা,

জয় শ্রী রাম বললে কারোর

        কাটা যাচ্ছে মাথা।।


চোর কে চোর বলতে

       সাহস হচ্ছে না,

স্বাধীন ভারতে এম পি এম এলে

       হচ্ছে বেচা কেনা।।


ভারত বর্ষ গণতান্ত্রিক দেশ

         জণগণ শেষ কথা বলে,

ভোটে জিতে মন্ত্রী হয়ে

         জণগণকে যায় ভুলে।।


স্বাধীন করতে এই ভারতে

       দিয়েছেন যারা প্রাণ,

৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে

      জানাই তাদের প্রনাম।।