পরিচারিকাকে নির্যাতন, ধৃত বরখাস্ত বিজেপি নেত্রী
হাইলাইটস
পরিচারিকার উপর পৈশাচিক, অমানবিক অত্যাচার চালিয়েছেন বিজেপি নেত্রী বলে অভিযোগ
আট বছর ধরে চলেছে এমন অত্যাচার
পরিচারিকাকে উদ্ধার নেত্রীর ছেলের প্রচেষ্টাতেই
পরিচারিকাকে প্রস্রাব চাটিয়ে, গরম চাটুর ছ্যাঁকা! মায়ের কুকীর্তি ফাঁস করেন খোদ ছেলে
রাঁচী, ৩১ অগস্ট: পরিচারিকাকে দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন চালানোর অভিযোগে সীমা পাত্র নামে ঝাড়খণ্ডের এক বিজেপি নেত্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গ্রেফতারির আগে তাঁকে অবশ্য দলও সাসপেন্ড করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ওই মহিলা রাঁচীর অভিজাত অশোকনগর এলাকার বাসিন্দা। তিনি এক প্রাক্তন আইএএস কর্তার স্ত্রী। সম্প্রতি তাঁর ছেলে আয়ুষ্মান এক সরকারি আধিকারিক বন্ধুকে বিষয়টি জানান। সুনীতা নামে ২৯ বছরের জনজাতির এক তরুণী সীমার বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। অভিযোগ, গত আট বছর ধরে মেয়েটিকে আটকে রেখে সীমা তাঁর উপরে অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছেন। সুনীতাকে উদ্ধারে বন্ধুর সাহায্য চান আয়ুস্মান। ওই সরকারি আধিকারিক বন্ধুর অভিযোগ পেয়ে গত সপ্তাহে সুনীতাকে উদ্ধার করে পুলিশ। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তাঁর জবানবন্দি দেন নির্যাতিতা।
চলাফেরার ক্ষমতা ছিল না। এখন তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নির্যাতনের যে বর্ণনা সুনীতা দিয়েছেন তার একটি ভিডিয়ো সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, কাজের এতটুকু ত্রুটি হলে সীমা মারধর করতেন। রড দিয়ে মেরে তাঁর দাঁত ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। গরম ফ্রাই প্যান আর লাঠির আঘাতে সারা শরীরে ক্ষত হয়ে গিয়েছে। এমনকি তাঁকে দিয়ে মেঝেতে পড়ে থাকা মূত্র চেটে পরিষ্কার করানো হয়েছে। প্রায়ই খেতে না দিয়ে একটি ঘরে বন্দি করে রাখা হত। তাঁর গলায় সংক্রমণ হয়ে গিয়েছে।
বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরেও কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না সে বিষয়ে সম্প্রতি প্রশ্ন তোলেন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ ব্যস। এর পরে তাঁকে সাসপেন্ড করে রাজ্য বিজেপি। বুধবার সীমাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁর পুলিশ হেফাজত হয়েছে।
পুলিশ যখন সুনীতাকে উদ্ধার করতে গিয়েছিল, তখন তরুণীর হয়েছে।
সীমার অবশ্য দাবি, এ সবই রাজনৈতিক চক্রান্ত। তাঁকে ফাঁসানো সংবাদ সংস্থা
