দিলীপ-গড়ে দিলীপ গড়ে শুভেন্দুকে কুৎসা করে পোস্টার, কাজিয়া তঙ্গে তুঙ্গে
খড়গপুর: Dilip Ghosh গড়ে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বিষোদ্গার করে একাধিক পোস্টার। শুভেন্দু আর এই পোস্টারকে কেন্দ্র করে দিনভর শোরগোল খড়গপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড-সহ গোটা খড়গপুর শহরে। যদিও পরে খবর পেয়ে খড়গপুর গ্রামীণ থানার সাদাতপুর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পোস্টারগুলি সরিয়ে ফেলে। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। সমাজ মাধ্যমের দৌলতে গোটা শহরের মানুষের কাছে এই পোস্টারগুলি পৌঁছে গিয়েছে।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে তরজা। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল এই রাতের অন্ধকারে এই পোস্টারগুলি লাগিয়েছে। আর তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের এই ঘটনা। তবে পোস্টারগুলি কে বা কারা লাগিয়েছে
সেই বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে সকলেই ধোঁয়াশায় রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সাতসকালে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা অধিকারীকে বিষোদগার করে একাধিক এই পোস্টারগুলি দেখা যায় খড়গপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সুষমাপল্লি ও স্বাধীন ক্লাব এলাকায়। একাধিক জায়গায় এই পোস্টার লাগানো হয়। কোথাও লেখা ছিল 'চোর চোর চোরটা শিশিরের ছেলেটা'। আবার কোনও পোস্টারে লেখা ছিল 'বেইমান শুভেন্দু গো ব্যাক'। আবার একটি পোস্টারে লেখা ছিল, 'বাংলাকে কলঙ্কিত করছে চোর শুভেন্দু'। এরকম বেশ কয়েকটি পোস্টারে গোটা এলাকা ছেয়ে গিয়েছিল।
এই ব্যাপারে বিজেপির খড়গপুর শহর উত্তর মণ্ডলের সভাপতি তথা দিলীপ-ঘনিষ্ঠ দীপসোনা ঘোষ বলেছেন, “এটা তৃণমূলের কাজ। এখন নানান দুর্নীতির অভিযোগে গোটা রাজ্যে তৃণমূলকে মানুষ ঘৃণার চোখে দেখছেন।
এখন তৃণমূল এইসব থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য এই ধরনের পোস্টার লাগিয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।”
অপরদিকে তৃণমূলের খড়গপুর শহর সভাপতি দীপেন্দু পাল বলেছেন, “এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা
বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের। Dilip Ghosh ঘোষের অনুগামীরা এই পোস্টারগুলো লাগিয়েছে।” আর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা কংগ্রেসের জেলা কমিটির সদস্য দেবাশিস ঘোষ গোটা ঘটনাকে কটাক্ষ করে বলেন, “এসব চোরে চোরে মাসতুতো ভাইদের খেলা।” তবে পুলিশ জানিয়েছে ছয়টি পোস্টার লাগানো হয়েছিল। সবগুলিই সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যদিও এই পোস্টার কারা লাগিয়েছে সেটি পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয় বলে জানালেন এক আধিকারিক। তবে গোটা ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
