রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শাসক দলের প্রাক্তন বিধায়ক শ্যামা মুখোপাধ্যায় (Shyama Mukherjee)। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চ তাঁর জামিন মঞ্জুর করে। প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় জেলবন্দী ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত এদিন কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়। ২০২১ সালের ২২ অগস্ট মাসে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি যখন বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন, সেই সময় পুরসভার বেশ কিছু স্কিমের টেন্ডারে বেনিয়ম হয়েছিল। প্রায় ১০ কোটি টাকার আর্থিক বেনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগেও জুন মাসে তাঁর জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তখনও জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল। অভিযুক্তের পক্ষের আইনজীবী এদিন আদালতে জানিয়েছেন, শ্যামা মুখোপাধ্যায় একজন বয়স্ক ব্যক্তি এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরে হেফাজতে রয়েছেন। এই গোটা বিষয়টি তথ্যনির্ভর তদন্ত এবং এখানে রাজনৈতিক দিকও রয়েছে বলে জানান প্রাক্তন বিধায়কের আইনজীবী। পাশাপাশি তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলাগুলি করা হয়েছে বলেও আদালতের কাছে তুলে ধরেন তাঁর আইনজীবী। এমন পরিস্থিতি তাঁর জামিনের জন্য আবেদন করেন শ্যামা মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী।
অন্যদিকে রাজ্যের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, তিনি একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং জামিন পেলে তিনি তদন্তে বাধা প্রদান করতে পারেন। পাশাপাশি আদালতে অসুস্থতার অজুহাতে আদালতে তিনি হাজিরা দেননি, সেই কারণে বিচার প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে বলেও জানান রাজ্য। যদিও শ্যামা মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবীর বক্তব্য, ২০২২ সালের ২৮ জুন চার্জ গঠন করার পর তিনবার রাজ্যের তরফে সাক্ষী পেশ করা হয়নি।
শ্যামা মুখোপাধ্যায় দীর্ঘদিন বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। পরবর্তী সময়ে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। যদিও গত বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট তিনি পাননি। অতীতে তিনি রাজ্যের মন্ত্রীও ছিলেন। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে পরাজিত হয়েছিলেন।
তিনি ১৯৯০ সাল থেকে বিষ্ণুপুর পুরসভার পাঁচ বারের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁকে গ্রেফতারির সময়ে বাঁকুড়ার তৎকালীন পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার
