Header Ads Widget

ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে গিয়ে যোগীর রাজ্যে মহিলাকে ধর্ষণ করলো পুলিশ

 যোগীরাজ্যে ধর্ষক পুলিশ





মেয়ের বলাৎকারের বিচার চাইতে গিয়ে বিপত্তি


লখনউ: যোগীরাজ্যে আইনের রক্ষকই অবতীর্ণ ভক্ষকের দরকার। আর সেই কাগজপত্র রয়েছে তার বাড়িতে। ঘটনাচক্রে, ওই পেট্রোল পাম্পের কাছেই ছিল অনুপের কোয়ার্টার। অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন, কোয়ার্টারে যাওয়ার পরই স্বমূর্তি ধারণ করে অনুপ। ধর্ষণ করে তাঁকে।


ভূমিকায় !ফের প্রকাশ্যে রাজ্যের নারী নিরাপত্তার চূড়ান্ত বেহাল দশা।


মেয়ের ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। মা। তদন্ত কতদূর এগোল জানতে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন। ঘটনাচক্রে সেই আধিকারিকেরই যৌন লালসার শিকার হতে হল তাঁকে। মর্মান্তিক এই ঘটনা উত্তরপ্রদেশের কনৌজের। তদন্তকারী অফিসার অনুপ মৌর্য্যকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে বলেই খবর।


ধর্ষণে অভিযুক্ত অনুপ কনৌজের হাজি শরিফ পুলিশ চৌকির ইন চার্জ। অভিযোগকারিণীর দাবি, তাঁর মেয়ের ধর্ষণ- কাণ্ডের তদন্তের ভার ছিল অনুপের হাতেই। গত ২৮ আগস্ট, অনুপ তাঁকে ডেকে পাঠায়। একটি পেট্রোল পাম্পের সামনে দেখা করতে বলে। সেইমতোই তিনি সেখানে যান। প্রাথমিক কিছু কথাবার্তার পর অনুপ তাঁকে নিজের কোয়ার্টারে আসতে বলে। জানায়, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রে সই করা



ঘটনার প্রেক্ষিতে দায়ের হয় এফআইআর। মঙ্গলবার অনুপকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও ধৃত অফিসারের দাবি, তিনি সইসাবুদের জন্যই মহিলাকে নিজের কোয়ার্টারে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। যোগীরাজ্যে পুলিশের এহেন বর্বরোচিত ভূমিকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের ভার দেওয়া হয় সার্কেল অফিসার (সদর) শিবপ্রতাপ সিং-এর উপর। সেই তদন্তে মৌর্য্য দোষী প্রমাণিত হয়। কনৌজের এসপি, কুঁওয়র অনুপম সিং জানান, “প্রাথমিক তদন্তে মহিলার অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। ওই ইনস্পেক্টরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এদিন আদালতে তোলা হয়েছিল, তার পর জেলে পাঠানো হয়েছে।” স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার হাত ধরে আরও একবার সামনে এসেছে যোগীরাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা অবনতির করুণ ছবি। বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে প্রশাসন।