Header Ads Widget

SSC: প্রায় ৫০ শতাংশ ফাঁকা থেকে গেল শিক্ষকের পদ, নয়া নজির এসএসসি-তে


কলকাতা: একদিকে যেখানে আইনি জটিলতায় শিক্ষক নিয়োগে করতে পারছে না এসএসসি অন্য দিকে আবার উল্টো ছবি ধরা পড়ল এসএসসির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে। অধিকাংশ শূন্য পদ পূরণ করা গেল না যোগ্য প্রার্থীদের অভাবে। এমনই তথ্য উঠে এসেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে। সাঁওতালি ভাষার শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে এসএসসির। কমিশনের সুপারিশ মোতাবেক ইতিমধ্যেই নিয়োগপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।সূত্রের খবর শূন্যপদ প্রায় ৫০০ টি ছিল।যেখানে ৫০ শতাংশেরও বেশি শূন্যপদের তালিকা প্রকাশ করতে পারিনি এসএসসি। শুধু তাই নয়, যত সংখ্যক প্রার্থীর মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তত সংখ্যক প্রার্থী কে আবার চাকরিও দেওয়া যাচ্ছে না বলেই পর্ষদ সূত্রের খবর। অনেকেরই মাধ্যম সাঁওতালি না হওয়াতেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।


পর্ষদ সূত্রের খবর কমিশনের তরফ এ যে সুপারিশ এসেছে সেগুলিকে ভেরিফিকেশন করে এখনো পর্যন্ত ৮০ জন এর কাছাকাছি প্রার্থীকেই চাকরি দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এসএসসি যে সাঁওতালি ভাষায় শিক্ষক নিয়োগের জন্য মেধাতালিকা প্রকাশ করেছিল সেখানে প্রায় ২৪০ টির কাছাকাছি শূন্যপদ পূরণের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যে অনেকেই আবার সাঁওতালি ভাষায় পড়াশোনা করেনি। অন্তত মেধা তালিকায় থাকা প্রার্থীদের যখন চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে পর্ষদ তখনই এমনই তথ্য উঠে এসেছে। সেক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত মোট শূন্যপদ নিরিখে প্রায় ১৫ শতাংশের সামান্য বেশি প্রার্থীকেই চাকরি দেওয়া সুনিশ্চিত করা গেছে পর্ষদের তরফে অন্তত এমনটাই সূত্র মারফত খবর।


প্রসঙ্গত গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সাঁওতালি ভাষায় শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। রাজ্যের বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে জঙ্গলমহলের মন পাওয়ার চেষ্টায় প্রায় দু মাসের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার প্রক্রিয়া করা হয়। মূলত গত জানুয়ারি মাসে ২৮,২৯ ও ফেব্রুয়ারি মাসের ২ ও ৩ তারিখে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল সাঁওতালি ভাষায় শিক্ষক নিয়োগের জন্য। কমিশন সূত্রে খবর, মূলত বাঁকুড়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের অধিকাংশ সাঁওতালি মাধ্যমে স্কুল রয়েছে। মূলত সাঁওতালি ভাষায় শিক্ষক নিয়োগ এসএসসি নয়া নিয়মেই শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া করেছে। সে ক্ষেত্রে দু মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে পারলেও এত কম সংখ্যক শূন্যপদ পুরনো হওয়াতে কার্যত কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর।